গলফ ইন দা ইয়ার টু থাউজেন্ড (Golf in the Year 2000) টাইম ট্র্যাভেল নিয়ে লেখা একটি সায়েন্স ফিকশনধর্মী উপন্যাস। এর লেখক
জে ম্যাককালো। ১৮৯২ সালে প্রথম প্রকাশিত নভেলটি একবিংশ শতকের সঠিক চিত্র
তুলে ধরতে পেরে নাম করে।
গল্পের প্রধান চরিত্র আলেকজান্ডার জে গিবসন ১৮৯২ সালে গভীর ঘুমে তলিয়ে যান। জেগে দেখেন ২ হাজার সাল হয়ে গেছে অনেকটা যেন আসহাবে কাহাফের মত। এর মানে উনি ১০৮ বছর নিদ্রামগ্ন ছিলেন। তত দিনে তার বাড়ির মালিকানা পাল্টেছে। বাড়ির মালিকের সাথে কথাবার্তা শুরু। সেও গিবসনের মতই গলফ খেলোয়াড়। দু' জনের গলফ মাঠে যাওয়া নিয়েই গল্পের মূল আবর্তন।
এত দিনে প্রযুক্তির ছোঁয়ায় গলফ খেলায় এসেছে আমূল পরিবর্তন। গলফ ক্লাবে খেলোয়ারদের স্কোর রেকর্ড করা হয়। আগে যেখানে গলফারের ব্যাগ ব্যাগেজ বহনের জন্য আলাদা লোক লাগত এখন সেই কাজ সারা হয় বিশেষ গলফ কার্ট (ঠেলা গাড়ী) দিয়ে। সবার জন্য অবশ্য পরিধেয় বিশেষ গলফ জ্যাকেট গলফার সুইং শুরু করলে যা ফোর (Fore!) বলে চেচিঁয়ে ওঠে.
সায়েন্স ফিকশনটিতে চিত্রায়িত ২০০০ সালের প্রকৃত ছবি আধুনিক পাঠককেও বিমোহিত করে। যেমন বুলেট ট্রেন, ডিজিটাল ঘড়ি, টেলিভিশন- এসব যন্ত্রের ব্যবহার যদিও সবক্ষেত্রে তাঁর দেওয়া নামগুলো অবিকল নেই। এছাড়াও লেখকের ব্রিটিশ পাউন্ডের ডেসিমাল কয়েনে রূপান্তরের পূর্বানুমান যথার্থ বলে প্রমাণিত হয়।
তবে আকাশে ওড়াউড়ির ধারণা গল্পটি দিতে পারেনি। তার বদলে বলেছে, সমুদ্রতল দিয়ে যাতায়াতকারী ট্রেন আটলান্টিকের এপার থেকে ওপারে কয়েক ঘন্টায় পৌঁছিয়ে দেবে। গল্পে একটি রাসায়নিক যুদ্ধাস্ত্রের কথা বলা হয়েছে যার প্রতিক্রিয়া অবশ্য বাস্তবতার চেয়ে ভিন্নতর। নভেলটির আরেকটি পূর্বানুমান হল নারী স্বাধীনতা। গল্পের কেন্দ্রিয় চরিত্র গিবসন দেখেন যে ২০০০ সালে মেয়েরা পুরুষদের মত জামা কাপড় পরে, ব্যাবসায় কতৃত্ব করে -যেখানে ব্যাংকের কেরাণিরা সবাই মহিলা। এমনকি, নারীদের পদচারণা আছে সরকারেও। সত্যি বলতে, নারীরাই সব কাজ করে, আর পুরুষদের কাজ হল সারাদিন গলফ খেলা!
১৮৯২ সালে Unwin সায়েন্স ফিকশনটি প্রকাশ করে। বইটি ১৯৯৮ সালে পুনঃমুদ্রিত হয়েছিল। পাওয়া যাচ্ছে অনলাইনেও।
সোর্সঃ
১. http://en.wikipedia.org/wiki/Golf_in_the_Year_2000
২. http://www.golf-in-the-year-2000.com/
গল্পের প্রধান চরিত্র আলেকজান্ডার জে গিবসন ১৮৯২ সালে গভীর ঘুমে তলিয়ে যান। জেগে দেখেন ২ হাজার সাল হয়ে গেছে অনেকটা যেন আসহাবে কাহাফের মত। এর মানে উনি ১০৮ বছর নিদ্রামগ্ন ছিলেন। তত দিনে তার বাড়ির মালিকানা পাল্টেছে। বাড়ির মালিকের সাথে কথাবার্তা শুরু। সেও গিবসনের মতই গলফ খেলোয়াড়। দু' জনের গলফ মাঠে যাওয়া নিয়েই গল্পের মূল আবর্তন।
এত দিনে প্রযুক্তির ছোঁয়ায় গলফ খেলায় এসেছে আমূল পরিবর্তন। গলফ ক্লাবে খেলোয়ারদের স্কোর রেকর্ড করা হয়। আগে যেখানে গলফারের ব্যাগ ব্যাগেজ বহনের জন্য আলাদা লোক লাগত এখন সেই কাজ সারা হয় বিশেষ গলফ কার্ট (ঠেলা গাড়ী) দিয়ে। সবার জন্য অবশ্য পরিধেয় বিশেষ গলফ জ্যাকেট গলফার সুইং শুরু করলে যা ফোর (Fore!) বলে চেচিঁয়ে ওঠে.
সায়েন্স ফিকশনটিতে চিত্রায়িত ২০০০ সালের প্রকৃত ছবি আধুনিক পাঠককেও বিমোহিত করে। যেমন বুলেট ট্রেন, ডিজিটাল ঘড়ি, টেলিভিশন- এসব যন্ত্রের ব্যবহার যদিও সবক্ষেত্রে তাঁর দেওয়া নামগুলো অবিকল নেই। এছাড়াও লেখকের ব্রিটিশ পাউন্ডের ডেসিমাল কয়েনে রূপান্তরের পূর্বানুমান যথার্থ বলে প্রমাণিত হয়।
তবে আকাশে ওড়াউড়ির ধারণা গল্পটি দিতে পারেনি। তার বদলে বলেছে, সমুদ্রতল দিয়ে যাতায়াতকারী ট্রেন আটলান্টিকের এপার থেকে ওপারে কয়েক ঘন্টায় পৌঁছিয়ে দেবে। গল্পে একটি রাসায়নিক যুদ্ধাস্ত্রের কথা বলা হয়েছে যার প্রতিক্রিয়া অবশ্য বাস্তবতার চেয়ে ভিন্নতর। নভেলটির আরেকটি পূর্বানুমান হল নারী স্বাধীনতা। গল্পের কেন্দ্রিয় চরিত্র গিবসন দেখেন যে ২০০০ সালে মেয়েরা পুরুষদের মত জামা কাপড় পরে, ব্যাবসায় কতৃত্ব করে -যেখানে ব্যাংকের কেরাণিরা সবাই মহিলা। এমনকি, নারীদের পদচারণা আছে সরকারেও। সত্যি বলতে, নারীরাই সব কাজ করে, আর পুরুষদের কাজ হল সারাদিন গলফ খেলা!
১৮৯২ সালে Unwin সায়েন্স ফিকশনটি প্রকাশ করে। বইটি ১৯৯৮ সালে পুনঃমুদ্রিত হয়েছিল। পাওয়া যাচ্ছে অনলাইনেও।
সোর্সঃ
১. http://en.wikipedia.org/wiki/Golf_in_the_Year_2000
২. http://www.golf-in-the-year-2000.com/
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন